যে দশটি প্রাণী জান্নাতে যাবে এবং কেন।?

যে_দশটি_প্রাণী_জান্নাতে_যাবে_এবং_কেন।?



১) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ﷺ-উনার উষ্ট্রী

২) হযরত সালেহ আলাইহিস সালাম-উনার উষ্ট্রী 

৩) হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম-উনার মেষ বা দুম্বা

 ৪) হযরত ইসমাইল আলাইহিস সালাম-উনার দুম্বা

৫) হযরত মুসা কালিমুল্লাহ আলাইহিস সালাম-উনার গাভী 

৬) হযরত ইউনূস আলাইহিস সালাম উনার মাছ (যে মাছ উনাকে ধারণ করেছিলো) 

৭) হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম-উনার পিপীলিকা 

৮) হযরত উযাইর আলাইহিস সালাম-উনার গাধা 

৯) হযরত সুলাইমান আলাইহাস সালাম-উনার হুদহুদ পাখি 

১০) আসহাবে কাহাফের কুকুর।।


এখন প্রশ্ন হল তারা পশু হয়েও জান্নাতী হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করল কি ভাবে ?


জি তার উত্তর বহু বছর আগে 

তাসাউফ দার্শনিক  শেখ সাদী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)  দিয়ে দিয়েছেন উনার বাণীতেঃ>

কবি বলেন,

صحبت صالح تورا صالح كند=صحبت طالح تورا طالح كند-

অর্থঃ- “সৎসঙ্গ তোমাকে ভাল মাসুষ করে দিবে, আর অসৎ সঙ্গ করে দিবে তোমাকে অসৎ।

কবি সম্রাট শায়খ সা’দী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার গোলেস্তাঁ কিতাবে লিখেন-............... 


অর্থঃ- “আমার এক বন্ধু এক দিন গোসল করার সময় আমাকে একটি মাটির টুকরা দিল, আমি মাটির টুকরোকে জিজ্ঞাসা করলাম তুমি কি মেশকে আম্বর না আবেরী? কেননা তোমার সুঘ্রাণে আমি মত্ত হয়ে গিয়েছি। 


মাটি জবাব দেয়- আমি যে মাটি সেই মাটিই ছিলাম। কিন্তু আমি কিছু দিন গোলাপ ফুল গাছের সাহ্চার্যে ছিলাম, গোলাপ ফুলের পাপড়ীগুলো আমার মধ্যে ঝরে পড়তো, আর তাই আমি মাটি উক্ত ফুলের সাথে থাকার কারণে ফুলের ন্যায় সুঘ্রাণযুক্ত হয়ে যাই। নতুবা আমি মাটিই ছিলাম।

 সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। 

তাদের আমল ছিল তারা আল্লাহর প্রিয় ভাজন দের সাথে একটু সঙ্গ অবলম্বন (নেক সোহবত) করার সৌভাগ্য হাসিল করেছিল। কেউ পেটে নিয়ে কেউ বা আবার পিটে করে! কেউ সাথে চলে। বাস এটায় আমল‼

এবার আপনি বুকে হাত  রেখে ঈমান নিয়ে বলুন।

ওরা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ না হয়েও যদি সৎ সঙ্গ অবলম্বন করার কারণে জান্নাতে যায়, তবে মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হয়ে এই নবী (ﷺ  এর ওলিদের সাথে সম্পর্ক রাখে,  তাঁদের মর্যাদা ও শাঁন কেমন হতে পারে আর কেনই বা তাঁরা জান্নাতি হবেনা। যে খানে পশু হচ্ছে‼

পয়েন্ট (২)

ইউনুছ নবী কে যেই মাছ পেটে নিয়ে ছিল,  সেটা যদি জান্নাতে যায়, তবে কুল কায়েনাতের নবী কে, যে মা আমেনা (রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহা) পেটে রেখে ছিল, তিনি কি ভাবে জাহান্নামী হতে পারেন‼ মায়া'জাল্লাহ্।

(যারা বলে প্রিয় নবীর পিতা মাতা জাহান্নামী❗তাদের জন্য বড়ই ভাবনা ও অনুতাপের বিষয়) 

আর যারা হক্কানী পীর আউলিয়া বিশ্বাসী নয় তাদের জন্যও আফসোসের বিষয়।  যেখানে আউলিয়া কিরামের সাথে থেকে একটা কুকুর ও জান্নাতে যাচ্ছে‼

পরিশেষে একটি হাদীস রাসূল দিয়ে ইতি টানিঃ

প্রিয় নবী ﷺ বলেনঃ

اخلص دينك يكفيك العمل القليل

তোমার ধর্ম তথা ঈমানকে খাঁটি করো,অল্প আমলই নাযাতের জন্য যথেষ্ট হবে। [তারগীব]


 তোমার ঈমান কে খাঁটি কর অল্প আমলই নাজাতের জন্য যথেষ্ঠ। (অর্থাৎ বেসিক ধর্মীয় আকিদা বিশ্বাস কে মজবুত কর আমল কম হলেও ইনশাআল্লাহ কোন একটা উসিলায় পার হয়ে যাবে)

মনে রাখবেন, হাদীসে যেই দলটিকে জান্নাতে দল বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে তার নাম হচ্ছে

وَإِنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ تَفَرَّقَتْ عَلَى ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ مِلَّةً، وَتَفْتَرِقُ أُمَّتِي عَلَى ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ مِلَّةً، كُلُّهُمْ فِي النَّارِ إِلَّا مِلَّةً وَاحِدَةً " قَالُوا: مَنْ هِيَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " مَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِي» " رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ.

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত।  এর বাহিরে যারা থাকবে, প্রিয় নবী বলেনঃ সবাই জাহান্নামী। (তিরমিযী ও মিশকাত শরীফে হাদীসের ব্যাখ্যায়)

আল্লাহ্ সবাই কে ঈমানের উপর অটল রাখুন।

____আমীন___

মে হুঁ সুন্নি কাদেরী জামিলে মারনে কি বা'দ

মেরা লাশা ভি কাহেগা আস্সালাতু ওয়াস্সালাম।

আত্মশুদ্ধি ও অনুশোচনা


٥٢٠٠ - وَعَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: " «قَدْ أَفْلَحَ مَنْ أَخْلَصَ اللَّهُ قَلَبَهُ لِلْإِيمَانِ وَجَعَلَ قَلْبَهُ سَلِيمًا، وَلِسَانَهُ صَادِقًا، وَنَفْسَهُ مُطْمَئِنَّةً، وَخَلِيقَتَهُ مُسْتَقِيمَةً، وَجَعَلَ أُذُنَهُ مُسْتَمِعَةً، وَعَيْنَهُ نَاظِرَةً، فَأَمَّا الْأُذُنُ فَقَمِعٌ، وَأَمَّا الْعَيْنُ فَمُقِرَّةٌ لِمَا يُوعَى الْقَلْبُ وَقَدْ أَفْلَحَ مَنْ جَعَلَ قَلْبَهُ وَاعِيًا» " رَوَاهُ أَحْمَدُ، وَالْبَيْهَقِيُّ فِي (شُعَبِ الْإِيمَانِ) .


মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং হাদিস নং৫২০০-[৪৬] উক্ত রাবী (আবু যার [রাঃ]) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: নিঃসন্দেহে সে কামিয়াব হয়েছে আল্লাহ তা'আলা যার হৃদয়কে ঈমানের জন্য খালেস করে দিয়েছেন এবং আল্লাহ তা'আলা তার হৃদয়কে (হিংসা ও মুনাফিক্বী হতে) নিবৃত্ত, রসনাকে সত্যভাষী, নাফসকে স্থিতিশীল ও স্বভাবকে সঠিক করেছেন, আর তার কানকে বানিয়েছেন (সত্য কথা) শ্রবণকারী ও চক্ষুকে করেছেন (সত্য প্রমাণাদির প্রতি) দৃষ্টিদানকারী। মূলত হৃদয় যা সংরক্ষণ করে তার জন্য কান হলো চুঙ্গির ন্যায় এবং চক্ষু হলো স্থাপনকারী। আর অবশ্যই ঐ ব্যক্তি কামিয়াব হয়েছে, যে তার হৃদয়কে সংরক্ষক বানায়। (আহমাদ ও বায়হাকী’র শুআবুল ঈমান)


٥٢٢٩ - ٥٢٣٠ - وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي خَلَّادٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: " «إِذَا رَأَيْتُمُ الْعَبْدَ يُعْطِي زُهْدًا فِي الدُّنْيَا، وَقِلَّةَ مَنْطِقٍ فَاقْتَرِبُوا مِنْهُ ; فَإِنَّهُ يُلْقِي الْحِكْمَةَ» ". رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي (شُعَبِ الْإِيمَانِ) .


ইবনে মাজাহ পৃষ্ঠা নং। হাদিস নং--

২/৪১০১। আবূ খাল্লাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি সাহাবী ছিলেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমরা এমন লোক দেখতে পাবে যাকে দুনিয়াতে যুহদ দান করা হয়েছে এবং স্বল্পভাষী করা হয়েছে, তখন তোমরা তার নৈকট্য ও সাহচর্য অবলম্বন করবে। কারণ তাকে প্রজ্ঞা দান করা হয়েছে।মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং হাদিস নং৫২২৯/৩০

١١٤٤ - وَعَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «مَنْ صَلَّى لِلَّهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا فِي جَمَاعَةٍ يُدْرِكُ التَّكْبِيرَةَ الْأُولَى، كُتِبَ لَهُ بَرَاءَتَانِ: بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ، وَبَرَاءَةٌ مِنَ النِّفَاقِ» ". رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ.

মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং হাদিস নং১১৪৪-[৯] আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ যে লোক চল্লিশ দিন পর্যন্ত তাকবীর তাহরীমাসহ আল্লাহর জন্যে জামা‘আতে সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করেন তার জন্যে দু’ প্রকার মুক্তি তার জন্য বরাদ্ধ করা হয়। এক জাহান্নাম থেকে মুক্তি। আর দ্বিতীয় মুনাফিক্বী থেকে মুক্তি। (1] হাসান লিগায়রিহী : আত্ তিরমিযী ২৪১, সহীহাহ্ ১৯৭৯, সহীহ আত্ তারগীব ৪০৯, সহীহ আল জামি‘ ৬৩৬৫।মিশকাতুল মাসাবিহ পৃষ্ঠা নং হাদিস নং


١١٤٤ - (وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ صَلَّى لِلَّهِ) أَيْ: خَالِصًا (أَرْبَعِينَ يَوْمًا) أَيْ: وَلَيْلَةً (فِي جَمَاعَةٍ) : مُتَعَلِّقٌ بِصَلَّى (يُدْرِكُ) : حَالٌ (التَّكْبِيرَةَ الْأُولَى) : ظَاهِرُهَا التَّكْبِيرَةُ التَّحْرِيمِيَّةُ مَعَ الْإِمَامِ، فَاحْتَمَلَ أَنْ تَشْمَلَ التَّكْبِيرَةَ التَّحْرِيمِيَّةَ لِلْمُقْتَدِي عِنْدَ لُحُوقِ الرُّكُوعِ، فَيَكُونُ الْمُرَادُ إِدْرَاكَ الصَّلَاةِ بِكَمَالِهَا مَعَ الْجَمَاعَةِ، وَهُوَ يَتِمُّ بِإِدْرَاكِ الرَّكْعَةِ الْأُولَى. (كُتِبَ لَهُ بَرَاءَتَانِ: بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ) أَيْ: خَلَاصٌ وَنَجَاةٌ مِنْهَا يُقَالُ: بَرِئَ مِنَ الدَّيْنِ وَالْعَيْبِ: خَلُصَ (وَبَرَاءَةٌ مِنَ النِّفَاقِ) : قَالَ الطِّيبِيُّ: أَيْ: يُؤَمِّنُهُ فِي الدُّنْيَا أَنْ يَعْمَلَ عَمَلَ الْمُنَافِقِ وَيُوَفِّقُهُ لِعِلْمِ أَهْلِ الْإِخْلَاصِ، وَفِي الْآخِرَةِ يُؤَمِّنُهُ مِمَّا يُعَذَّبُ بِهِ الْمُنَافِقُ وَيَشْهَدُ لَهُ بِأَنَّهُ غَيْرُ مُنَافِقٍ يَعْنِي: بِأَنَّ الْمُنَافِقِينَ إِذَا قَامُوا إِلَى الصَّلَاةِ قَامُوا كُسَالَى، وَحَالُ هَذَا بِخِلَافِهِمْ قَالَهُ ابْنُ حَجَرٍ، وَفِي عَدَدِ الْأَرْبَعِينَ سِرٌّ مَكِينٌ لِلسَّالِكِينَ نَطَقَ بِهِ كِتَابٌ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ وَسُنَّةُ سَيِّدِ الْمُرْسَلِينَ، فَقَدْ جَاءَ فِي الْحَدِيثِ: " «مَنْ أَخْلَصَ لِلَّهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا ظَهَرَتْ يَنَابِيعُ الْحِكْمَةِ مِنْ قَلْبِهِ عَلَى لِسَانِهِ» " فَكَأَنَّهُ جَعَلَ هَذَا الْمِقْدَارَ مِنَ الزَّمَانِ مِعْيَارًا لِكَمَالِهِ فِي كُلِّ شَأْنٍ كَمَا كَمُلَتْ لَهُ الْأَطْوَارُ كُلُّ طَوْرٍ فِي هَذَا الْمِقْدَارِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِحَقَائِقِ الْأَسْرَارِ وَدَقَائِقِ الْآثَارِ. (رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ) وَقَالَ: وَرُوِيَ عَنْ أَنَسٍ مَوْقُوفًا نَقَلَهُ مِيرَكُ.

قُلْتُ: وَمِثْلُ هَذَا مَا يُقَالُ مِنْ قِبَلِ الرَّأْيِ فَمَوْقُوفُهُ فِي حُكْمِ الْمَرْفُوعِ، قَالَ ابْنُ حَجَرٍ: رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ بِسَنَدٍ مُنْقَطِعٍ وَمَعَ ذَلِكَ يُعْمَلُ بِهِ فِي فَضَائِلِ الْأَعْمَالِ، وَرَوَى الْبَزَّارُ، وَأَبُو دَاوُدَ، خَبَرَ: «لِكُلِّ شَيْءٍ صَفْوَةٌ وَصَفْوَةُ الصَّلَاةِ التَّكْبِيرَةُ الْأُولَى، فَحَافِظُوا عَلَيْهَا» ، وَمِنْ ثَمَّ كَانَ إِدْرَاكُهَا سُنَّةً مُؤَكَّدَةً، وَكَانَ السَّلَفُ إِذَا فَاتَتْهُمْ عَزَّوْا أَنْفُسَهُمْ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، وَإِذَا فَاتَتْهُمُ الْجَمَاعَةُ عَزَّوْا أَنْفُسَهُمْ سَبْعَةَ أَيَّامٍ اهـ. وَكَأَنَّهُمْ مَا فَاتَتْهُمُ الْجُمُعَةُ وَإِلَّا فَعَزَّوْا أَنْفُسَهُمْ سَبْعِينَ يَوْمًا.

কপিকৃত

Post a Comment

Previous Post Next Post