চার মযহাবের মূল্যায়ন: লা-মযহাবী ফিতনা

 (৮ম পর্ব)

মূল: ড: আবদাল-হাকিম মুরাদ (যুক্তরাজ্য)

অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন

চার মাজহাবের মূল্যায়ন, লা মাজহাবি ফেতনা পর্ব ৮


Dr Abdal-Hakim Murad's online article

'Understanding the four Madhhabs: The problem

with anti-madhhabism' - 8th episode


বিঃদ্রঃ ৭ম পর্বের পড় থেকে। 


’নাসখ’ (শরয়ী দলিল রহিতকারী অপর দলিল) চিহ্নিতকরণের

কৌশলগুলো উলেমাবৃন্দকে অধিকাংশ স্বীকৃত ‘তায়ারুদ আল-আদিল্লা’ (শরয়ী দলিলসমূহের পরস্পরবিরোধিতা)-এর সমাধান খুঁজে পেতে সক্ষমbকরে তোলে। এ সব কৌশলের জন্যে প্রয়োজন ছিলbকেবল হাদীসশাস্ত্র-সংক্রান্ত পূর্ণ ও

বিস্তারিত জ্ঞান-ই নয়, বরং ইতিহাস, রাসূলুল্লাহ (দ:)-এর সীরাহ মোবারক এবং সংশ্লিষ্ট হাদীসের উৎপত্তি ও ব্যাখ্যা সম্পর্কে সাহাবা-এ-কেরাম (রা:) ও অন্যান্য উলামাদের মতামত-ও। কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটিমাত্র হাদীসের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের জন্যে মোহাদ্দীস

উলামাবৃন্দ সারা ইসলামী দুনিয়া সফর করে বেড়াতেন।

সব ধরনের কৌশল বা পদ্ধতি প্রয়োগের পরও যদি রহিতকরণ প্রমাণ করা না যেতো, তবে সালাফ আস্ সালেহীন (প্রাথমিক ৩ শতকের পুণ্যাত্মাবৃন্দ)-এর জ্ঞান বিশারদগণ আরও অতিরিক্ত পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকার করতেন। এগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ্ধতি ছিল ‘মতন’-এর

বিশ্লেষণ (হাদীসের এসনাদের পরিবর্তে মূল বর্ণনা)। ‘সারিহ’ (স্পষ্ট) বক্তব্যকে ইশারা- ইঙ্গিতের (’কেনায়া’) চেয়ে প্রাধান্য দেয়া হতো; আর ‘মোহকাম’ (সুস্পষ্ট, সুনির্দিষ্ট)

কথাবার্তা অগ্রাধিকার পেতো দ্ব্যর্থবোধক বক্তব্যের চেয়ে; এই দ্ব্যর্থবোধক শ্রেণীর মধ্যে রয়েছে ‘মোফাসসর’ (ব্যাখ্যাকৃত),

‘খফি’ (গোপন, অস্পষ্ট) এবং ‘মুশকিল’ (জটিল, সমস্যাসংকুল) । পরস্পরবিরোধী হাদীসগুলোর বর্ণনা কারীদের অবস্থাও বিবেচনা করা হতো, যার দরুণ যে বর্ণনাকারী যতো বেশি বর্ণনার সাথে সরাসরি জড়িত হতেন তিনি ততো-ই অগ্রাধিকার পেতেন। এর একটি উজ্জ্বল

দৃষ্টান্ত হলো হযরত মায়মুনাহ (রা:) বর্ণিত হাদীসটি, যা বিবৃত করে রাসূলুল্লাহ (দ:) যখন তাঁকে বিয়ে করেন তখন হুযূর পাক (দ:) হজ্জ্বের জন্যে এহরাম বাঁধা অবস্থায় ছিলেন না। যেহেতু তাঁর বিবরণটি ছিল চাক্ষুস সাক্ষ্যের, সেহেতু হযরত ইবনে আব্বাস (রা:)-এর অনুরূপ নির্ভরযোগ্য এসনাদ-সমৃদ্ধ কিন্তু

পরস্পরবিরোধী বর্ণনাটি, যা’তে ব্যক্ত হয়েছিল মহানবী (দ:) ওই সময় হজ্জ্বের ‘এহরাম’ বাঁধা অবস্থায় ছিলেন, তার চেয়ে হযরত মায়মুনা (রা:)-এর সাক্ষ্য অগ্রাধিকার পায়।


চলবে---------। 

৯ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন 



1 Comments

  1. মাশাআল্লাহ,অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট

    ReplyDelete

Post a Comment

Previous Post Next Post