চার মযহাবের মূল্যায়ন: লা-মযহাবী ফিতনা (২য় পর্ব)
মূল: ড: আবদাল-হাকিম মুরাদ
অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন
Dr Abdal-Hakim Murad's article 'Understanding
the Four Madhhabs: The problem with anti-
madhhabism' - 2nd episode
বিঃদ্রঃ প্রথম পর্বের পড় থেকে।
এই ধরনের ব্যাখ্যার সুস্পষ্ট উৎকর্ষ রয়েছে। কিন্তু তবুও আমাদেরকে এই নিয়মের ব্যতিক্রম সে সব বেদনাদায়ক
ঘটনা ব্যাখ্যা করতে হবে যেগুলো আমাদের ইতিহাসের প্রাথমিক পর্যায়ে ঘটেছিল। মহানবী (দ:) স্বয়ং তাঁর সাহাবা-এ-কেরাম (রা:)-কে এক হাদীসে বলেছিলেন, “তোমাদের মধ্যে যে কেউ আমার (হায়াতে জিন্দেগীর)
পরে বেঁচে থাকবে, সে প্রচুর ফিতনা-ফাসাদ দেখতে পাবে” (ইমাম তিরমিযী বর্ণিত)। খলীফা হযরত উসমান (রা:)-এর বিরুদ্ধে ধ্বংসযজ্ঞপূর্ণ বিদ্রোহ, হযরত আলী (ক:)
ও আমীরে মোয়াবিয়া (রা:)-এর মধ্যকার সংঘাত, খারেজীদের রক্তাক্ত বিভক্তি সৃষ্টি, প্রাথমিক যুগের এই সব ফিতনা ইসলামের সূচনালগ্ন থেকেই মুসলিম রাষ্ট্রশরীরে অনৈক্যের ছুরি চালিয়েছিল।
শুধু উম্মতের (বুযূর্গ) উলামাদের অন্তঃস্থিত সহজাত সুস্থ বিচারবুদ্ধি ও ঐক্যের প্রতি মহব্বত, যা নিঃসন্দেহে খোদায়ী মদদপ্রাপ্ত ছিল, তা-ই ওই প্রথম দিককার ফিতনার সফল মোকাবেলা করে এবং সুন্নী মতাদর্শের এমন
একটি শক্তিশালী ও সুশৃঙ্খল কাঠামো বিনির্মাণ করে যা অন্ততঃ ধর্মীয় ক্ষেত্রে ইসলামের ইতিহাসের ৯০% সময়কাল যাবত এই উম্মতের ৯০% জনসংখ্যাকে ঐক্যবদ্ধ করেছে।
আমাদের মুসলমানদের বর্তমানকার ক্রমবর্ধমান বিভক্তি সম্পর্কে ভালভাবে বুঝতে হলে সুদূর অতীতে বিভেদ সৃষ্টিকারী শক্তিগুলোর সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিশ্লেষণ প্রয়োজন। এই ধরনের
অনেক (ফিতনাবাজ) ছিল, যাদের কেউ কেউ অত্যন্ত গোঁড়াপন্থী। কিন্তু এদের মধ্যে শুধু দু’টি গণমুখি আন্দোলনের রূপ নেয়, যার চালিকা- শক্তি ছিল ধর্মীয় মতবাদ এবং সংখ্যাগরিষ্ঠদের ধর্মবিশ্বাস ও মনীষার বিরুদ্ধে সক্রিয় বিদ্রোহ। সঙ্গত কারণেই এই দুটো আন্দোলন খারেজীবাদ ও শিয়াবাদের নাম অর্জন করে। সুন্নী মতাদর্শের সাথে বৈসাদৃশ্য
রেখে এই দু’টি মতবাদ অসংখ্য শাখা- প্রশাখা ও উপ- আন্দোলনের জন্ম দিতে পেরেছে। তথাপি ইসলামে ধর্মীয় কর্তৃত্বের উৎসসম্পর্কিত মৌলিক প্রশ্নে মুসলমানদের মূলধারা হতে পৃথক দু’টি মতবাদ সৃষ্টি করতে সক্ষম হওয়ায় এরা মতপার্থক্যের চিহ্নিত দু’টি ধারা হিসেবে টিকে গিয়েছে।
চলবে-----------।
Nice
ReplyDeletePost a Comment