মুনাব্বেহাত (চারটি চারটি নছীহত) পৃষ্ঠা নাম্বার ২৬

মুনাব্বেহাত


হযরত ওছমান ( রাঃ ) বলিয়াছেন আমি এবাদতের মধুরতা চারিটি বস্তুতে পাইয়াছি - প্রথম ফরজ আদায়ের মধ্যে ; দ্বিতীয় হারাম বস্তু হইতে পরহেজ করার মধ্যে ; তৃতীয় নেককাজের আদেশ করা ও আল্লাহর নিকট হইতে ছওয়াব পাইবার আশা পোষণ করা , চতুর্থ বদকাজে নিষেধ করা ও আল্লাহর গজব হইতে বাঁচিয়া থাকা । তিনি আরো বলিয়াছেন এরূপ চারিটি কাজ আছে যাহার জাহের দিকটা ফজিলত বিশিষ্ট এবং বাতেনের দিকটা ফরজ - নেককারদের সঙ্গে মিলামিশা করা একটি ফজিলত কিন্তু তাহাদের পায়রবী করা ফরজ , কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করা একটি ফজিলত তদনুযায়ী আমল করা ফরজ , কবর জেয়ারত করা একটি ফজিলত ; কিন্তু তাহার জন্য তৈয়ার থাকা ফরজ , রোগীকে দেখিতে যাওয়া একটি ফজিলত কিন্তু তাহার নছীহত গ্রহণ করা ফরজ । হযরত আলী ( রাঃ ) বলিয়াছেন , যে ব্যক্তি বেহেশতের খাহেশ রাখে সে নেক আমলের দিকে দৌড়ায় , যে ব্যক্তি দোজখকে বয় করে সে নফ্ছের কুপ্রবৃত্তি হইতে বিরত থাকে , যে ব্যক্তি মৌতের একীন বা দৃঢ় বিশ্বাস রাখে তাহার ভোগ বিলাস টুটিয়া যায় এবং যে ব্যক্তি দুনিয়ার প্রকৃত পরিচয় পায় তাহার পক্ষে মছীবৎ বরদাশ্ত করা সহজ হইয়া যায় । রাছুলুল্লাহ ছাল্লাহু আলাইহে অছাল্লাম বলিয়াছেন , নামাজ দীনের খুঁটি আর নীরব থাকা আফজাল , দান আল্লাহর গজবকে নির্বাপিত করে , আর নীরব থাকা আফজাল , রোজা দোজখ হইতে রক্ষা পাইবার ঢাল , আর নীরব থাকা অতি ভালো , জেহাদ দীনকে বুলন্দ করে , আর নীরব থাকা আফজাল । কথিত আছে যে বনি ইছরাইলের কোনো নবীর নিকট এই মর্মে আল্লাহতায়ালা ওহী পাঠাইলেন- আমার খাতিরে বাতিল বিষয় হইতে নীরব থাকা , তোমার পক্ষে রোজা , আমার খাতিরে তেমার অঙ্গগুলিকে হেফাজত করা , তোমার পক্ষে নামাজ , আমার খাতিরে লোকজন হইতে আশা উম্মেদ ত্যাগ করা তোমার পক্ষে দান এবং আমার খাতিরে মুছলমানকে কষ্ট দেওয়া হইতে বিরত থাকা , তোমার পক্ষে জেহাদ ।


বিঃদ্রঃ মুনাব্বেহাত ্কিতাব ধারাবাহিক ভাবে চলবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post